সংবাদচর্চা ডেস্ক : আওয়ামী লীগ সরকারের আচরণ সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ। এমনকি এই সরকারের আচরণকে তিনি পাকিস্তানের স্বৈরশাসক ইয়াহিয়া খানের শাসনামলের সঙ্গে তুলনা করেছেন। শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছিলেন রিজভী আহমেদ।
বিএনপির এ মুখপাত্র বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ও ইয়াহিয়া খানের আচরণ একই। ইয়াহিয়া ছিল বিদেশি আর আওয়ামী লীগ হচ্ছে দেশি, পার্থক্য এইটুকু। তাদের আচরণ সহ্যের অতীত হয়ে গেছে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে (ডিএনসিসি) বিএনপির প্রার্থী নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এক বক্তব্য প্রসঙ্গে রিজভী আহমেদ বলেন, জনগণকে বিভ্রান্ত করতেই আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ ধরনের কথা বলছেন।
গত বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে ওবায়দুল কাদের বলেন, আজকে পত্রিকায় দেখলাম বাবা (বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু) তার ছেলেকে (তাবিথ আউয়াল) বিএনপির ডিএনসিসির মেয়র প্রার্থী বলে ঘোষণা করেছেন। এটা আওয়ামী লীগ কখনও কল্পনাও করতে পারে না। বাবা বিএনপির নেতা, তিনি তার ছেলেকে মনোনয়ন দিয়েছেন। যে ছেলের নাম আবার প্যারাডাইজ পেপারে (দুর্নীতি কেলেঙ্কারির পেপার) এসেছে। এতেই প্রমাণ হয় বিএনপিতে গণতন্ত্র নেই। রিজভী এ প্রসঙ্গে বলেন, বিএনপি থেকে কে মনোনয়ন পাবেন, না পাবেন, সেটার সিদ্ধান্ত নেবে দল। কিন্তু বাইরে থেকে তিনি কিভাবে এ বিষয়ে কথা বলেন? সরকার আজীবন ক্ষমতায় থাকার স্বপ্নে বিভোর হয়ে জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ধ্বংসের অপচেষ্টা করছে অভিযোগ করে বিএনপির এ নেতা বলেন, এ কারণে তারা সারাদেশে আমাদের নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলায় হয়রানি করছে। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আদালতে হাজিরার নামে হয়রানি করা হচ্ছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, খালেদা জিয়া যেদিন হাজিরা দিতে গেছেন, সেদিন নেতাকর্মীরা নেত্রীকে দেখার জন্য অপেক্ষা করেছে। তারা তো কোনো অপরাধ করেনি। তারপরও (প্রধানমন্ত্রী) শেখ হাসিনা নেতাকর্মীদের উপস্থিতি সহ্য করতে পারেননি। পুলিশ দিয়ে নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, আবুল খায়ের ভুইয়া, সেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী খান সপু, সহ-দপ্তর সম্পাদক মনির হোসেন, শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হুসাইন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।